বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন যদি সারা বছর নির্বাচন করবে তবে পড়বে কখন আর গবেষণা করবে কখন? এখন যা অবস্থা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্বাচন হয় কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো নির্বাচন হয় না। প্রত্যেকটি বিশ^বিদ্যালয় এখন অ-গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এটি বঙ্গবন্ধুর বিশ^বিদ্যালয় না।’

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববিদ্যালয় ভাবনা ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রেক্ষিত এক সেমিনারে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য দক্ষতা-শর্তাবলীর প্রয়োজন পড়ে কিন্তু উপাচার্য হবার জন্য কোনো দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না। বিশ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলেই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য হওয়া যায়। উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য হবার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবির উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিয়ে অনেক কাজ করে গেছেন। শিক্ষার অগ্রগতির জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরত-এ-খুদাকে প্রধান করে বঙ্গবন্ধু একটি শিক্ষা কমশিন গঠন করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমাদের আজকের যে অধঃপতন, তার জন্য আমরাই দায়ী। কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে আমাদের বারবার চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান। তবে আইনের রক্ষককেও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যসহ সকল নিয়োগের নানা নীতিমালা আছে। যেগুলো সঠিকভাবে মেনে নিয়োগ কার্য করলে শিক্ষা ব্যবস্থার এমন পরিনতি হতো না। এখন আমাদের সময় এসেছে কথা বলার। শুধু আত্মসমালোচনা নয়, আমাদের আত্মশুদ্ধি করতে হবে।’

সেমিনারে আলোচক হিসেবে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডের সঞ্চালনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।